Monthly Archives: March 2014

Aside

বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম মৃত ব্যক্তির পক্ষ থেকে কুরবানী দেয়া কি শারী‘আত সম্মত? আমাদের সমাজে মৃত ব্যক্তির নামে কুরবানী করা যাবে কি যাবে না মর্মে অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন। অতএব এ বিষয়ে সংক্ষেপে কিছু আলোচনা করা প্রয়োজন মনে করছি। ইসলামী শারী‘আতের … Continue reading

**** হাদিস গুলো পড়ে দেখবেন কি ! ***

কিছু মানুষ আছে যারা নিজেদের মুসলিম বলে পরিচয় দেয়
কিন্তু তাদের মতের বিরুদ্ধে গেলে যদিও তা সঠিক তার পরও তারা মানতে না পেরে
মুখ দিয়ে গালি ছাড়া আর কিছুই বের করতে পারেনা
মনে হয় এই বিষয়ে পি এইচ ডি করসে…………………………!!!
আসুন দেখি ইসলাম কি বলে তাদের ব্যাপারে………………………

আব্দুল্লাহ ইবনু মাস’উদ (রাদি) হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স) বলেছেন মুসলিমদের কে গালি-গালাজ করা ফাসেকি এবং তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা কুফুরি।
(বুখারি-৪৮, মুসলিম-৬৪)

অশ্লীল ভাষা ব্যবহার মুনাফিকীর লক্ষণ:-

বিশর ইবনে খালিদ (র)…আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, চারটি স্বভাব যার মধ্যে থাকে, সে মুনাফিক অথবা যার মধ্যে এ চারটি স্বভাবের কোন একটা থাকে, তার মধ্যেও মুনাফিকীর একটি স্বভাব থাকে, যে পর্যন্ত না সে তা পরিত্যাগ করে। (১) সে যখন কথা বলে মিথ্যা বলে (২) যখন ওয়াদা করে ভঙ্গ করে (৩) যখন চুক্তি করে তা লঙ্ঘন করে (৪) যখন ঝগড়া করে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে। [সহীহ বুখারী, চতুর্থ খণ্ড, হাদিস নং ২২৯৭ – ইফা]

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন, সবচেয়ে নিকৃষ্ট সেই ব্যক্তি যে নিজের বাবা-মা কে গালি দেয়। সাহাবী (রা) গণ প্রশ্ন করলেন, হে আল্লাহ্‌র রাসূল, নিজের বাবা-মা কে কেউ কখনও গালি দেয় ? নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, যে তার অপর ভাইয়ের বাবা মা কে গালি দেয় এর বদলে সেও তার বাবা-মা কে গালি দেয়।
[বুখারী ও মুসলিম]

ইবনে উ’মর (রা) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যদি কোন ব্যক্তি তার (মুসলিম) ভাইকে কাফের বলে তা তাদের উভয়ের একজনের ওপর অবশ্যই বর্তাবে। [সহীহ মুসলিম, প্রথম অধ্যায়ঃ কিতাবুল ঈমান, হাদিস নং- ১২৩]

“নীচু লোকের হাতিয়ার গালি যদি কোন লোক তোমাকে খারাপ কথা বলে, তবে তার কথার জবাব দিও না। কেননা, হতে পারে এর চেয়েও খারাপ কোন বাক্য তার ঠোঁটের কাছেই রয়েছে। তুমি ওর কথার জবাব দেয়ার সাথে সাথেই সে তা বলতে শুরু করবে।
-হযরত আলী (রাঃ)”

আমাদের কেউ গালি দিলেও আমরা
আল্লাহ্‌ ও তার রাসুল (সা) এর দেখানো পথ অনুসরন করবো ইন শা আল্লাহ্‌ …………………

রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌ ও আখিরাতে ইমান রাখে তার উচিত হয় উত্তম কথা বলা নয়তো চুপ থাকা ।
(বুখারিঃ৬০১৮)

রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ মুমিন খোটাদানকারী,আভিশাপকারী, নির্লজ্জ ও অশ্লীলভাষী হয় না ।
(তিরমিযি ১৯৭৭, আহমাদ ৩৮২৯,৩৯৩৮)

“যে ঈমানদার ব্যক্তি মানুষের সাথে মিলামিশা করে এবং কেউ কষ্ট দিলে তাতে
ধৈর্যের পরিচয় দেয় সে ঐ ব্যক্তি থেকে উত্তম যে কারো সাথে উঠাবসা করে না
আর কেউ কষ্ট দিলে তাতে ধৈর্য ধারণ করে না।”
(মুসনাদ আহমাদ। ইব্নুল হাজার রাহ. ফাতহুল বারী কিতাবে হাদীসটিকে হাসান বলেছেন)

নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,যে ব্যক্তি উভয় চোয়ালের মধ্যভাগ (জিহ্বা) এবং দুই রানের মধ্যভাগ(লজ্জাস্থান) হেফাজতের দায়িত্ব গ্রহন করে আমি তার জন্য জান্নাতের দায়িত্ব গ্রহন করি।[বুখারী, ৬৪৭৪]

আনাস ইবনে মালেক (রাঃ)থেকে বর্নিত; রাসুল (সাঃ) বলেছেন,“তোমরা সহজ পথ অবলম্বন কর, কঠিনপথ অবলম্বন করনা এবং মানুষকে শান্তি ও স্বস্তি দাও, মানুষের মধ্যে ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়িও না।”[বুখারি]

“ক্ষমা করার অভ্যাস গড়ে তোল, সৎকাজের নির্দেশ দাও এবং মূর্খ জাহেলদের থেকে দূরে থাক”।
(সুরা আল আরাফঃ ১৯৯)

তোমরাই সর্ব শ্রেষ্ট জাতি । মানব কল্যাণে তোমাদের বানানো হইয়াছে । তোমরা এই কারনে শ্রেষ্ট যে, মানুষ কে ভালো কাজের আহবান করবা, এবং মন্দ কাজ হইতে বিরত থাকিতে বলবা, এবং আল্লাহর উপর পূর্ণ বিশ্বাস রাখিবা ।-(আলে ইমরান: ১২)

আল্লাহ্‌ যেন আমাদের সবাইকে হেদায়েত দান করেন আমিন ।

Aside

ইমাম দের ভুল ফতুয়া ………….. কোন ইমামের ব্যক্তিগত ফতোয়ার করনে ইসলামকে খাটো করে দেখবেন না। লিখেছেন- শাহরিয়ার আজ আমরা ইসলামের অপব্যাখ্যা করে পবিত্র ইসলামকে কলুষিত করছি। অমুসলিম ভাইরা ভাবছে, এই নাকি ইসলাম? তারা হাসছে, ধিক্কার দিচ্ছে আর রাসূল (সঃ) কে … Continue reading