সময়
-
সাম্প্রতিক পোষ্ট সমূহ
- যারা পরচুলা লাগায় ও পরুচুলা লাগিয়ে দেয় তাদের উপর আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের লা’নতঃ
- ইসরাইল : কেন বৈধ বা কেন অবৈধ?
- ইমাম আবু হানীফা রাহ. হাদীসের অনেক বড় আলিম ছিলেন। তিনি হাফিযুল হাদীসও ছিলেন এবং হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে ছিকা ও নির্ভরযোগ্যও ছিলেন।
- কুরআন ও সুন্নাহর দলীলসমৃদ্ধ নামাযের বই
- খুতবাতুল ইসলাম
- কুরবানী ও জাবীহুল্লাহ
- রাহে বেলায়াত
- ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ
- হাদীসের নামে জালিয়াতি
- কিতাবুল মোকাদ্দস, ইঞ্জিল শরীফ ও ঈসায়ী ধর্ম
Archives
ভিজিটর
-
-
আল- হেরার আলো : আল-হেরার আলো
হাদিসের তাহকিকে “শবে বরাত” ও সালাফদের অভিমত
হাদিসের তাহকিকে “শবে বরাত” ও সালাফদের অভিমত প্রথমতঃ হাদিসের তাহকিক বা তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ দ্বিতীয়তঃ হাদিস সম্পর্কে সালাফদের অভিমত তৃতীয়তঃ নফল ইবাদত নিয়ে সালাফদের অভিমত চতুর্থতঃ এই রাতে করণীয় আমল পঞ্চমতঃ এই রাতে বর্জণীয় আমল #প্রথম_অধ্যায়ঃ হাদিসের তাহকিক #১নং হাদিসঃ শাবানের মধ্য রজনীতে রোজা রাখার অবকাশ আছে। বরকতময় মাস হিসেবে। عَنْ عِمْرَانَ بْنِ حُصَيْنٍ، – رضى […]
কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন এবং ইসলাম ও আমার চিন্তাভাবনা !
কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন এবং ইসলাম ও আমার চিন্তাভাবনা. ♥♥ ♥♥ ♥♥ ===================== — ❀ নাস্তিকরা প্রতিনিয়ত বিজ্ঞান দিয়ে ধর্মকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা করে।তবে আলহামদুলিল্লাহ সকল ক্ষেত্রেই ধর্মেরই বিজয় ঘটে।নাস্তিক মুক্তমনাদের ধর্মকে বাদ দেবার বর্তমানে সবচেয়ে বড় হাতিয়ার হলো বিবর্তনবাদ এবং কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন।বিবর্তনবাদের অসারতা নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ অনেক লেখালেখি হয়েছে তবে কোয়ান্টাম ফ্লাকচুয়েশন নিয়ে লেখালেখি আমার জানা মতে […]
মহিলাদের নামাজ নিয়ে কিছু কথা !
সালাত আদায় করার জন্য নারী পুরুষ কারোর জন্য স্বতন্ত্র নিয়ম করা হয়নি। জিবরাঈল (আঃ) আল্লাহর নির্দেশক্রমে দুই দফায় রাসূল (সঃ) কে পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের নিয়ম পদ্ধতি ইমামতি করে বাস্তবভাবে শিখিয়ে গেছেন। এসময় জিবরাঈল (আঃ) নারীদের সালাতের জন্য আলাদা কোন নিয়ম পদ্ধতির বর্ণনা দেন নাই। রাসূল (সঃ) বহু সাহাবীদের উপস্থিতিতে বাস্তবভাবে রুকু, সাজদাহ ইত্যাদি করে দেখিয়ে […]
নারী-পুরুষের সালাতের পদ্ধতিগত কোন পার্থক্য আছে কি?
মুসলিম জাতীর জন্য একটি ফরয ইবাদত হচ্ছে সালাত বা নামায। যা কোন অজুহাতেই পরিত্যাগ করা সম্ভব নয়। আর পরকালে সর্বপ্রথম এই সালাতের হিসাব নেয়া হবে। তবে আমাদের সমাজে পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সালাত আদায়ে পার্থক্য দেখা যায়। কিন্তু মহানবী (সঃ) কখনও বলে যাননি যে, পুরুষ ও মহিলাদের মধ্যে সালাত আদায়ে পার্থক্য আছে। তাঁর সময় নারী-পুরুষ […]
ইসলামের দৃষ্টিতে ভুমিকম্প কেন হয় এবং ভুমিকম্প হলে করনীয় কী?
ভুমিকম্প কেন হয়? আবু হুরাইরা (রা.) কতৃক বর্ণিত, আল্লাহর নবি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে, কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার খিয়ানত করা হবে (অর্থাৎ যার সম্পদ সে আর ফেরত পাবে না), জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে, ধর্মীয় শিক্ষা ব্যতীত বিদ্যা অর্জন করা হবে, একজন […]
জেনে নিন মহানবী ( সাঃ ) এর ২১৩ টি মহা মূল্যবান বাণী
হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর সর্বশেষ নবী। দুনিয়াতে যারা তাঁর দেখানো পথে চলবে, পরকালে তারাই জান্নাতে যাবে। তারাই জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাবে। আমরা তাঁর উম্মত বা অনুসারী দল। আমরা তাঁর দেখানো পথে চলি। সঠিক পথ পাবার জন্যে তিনি আমাদের কাছে দুটি জিনিস রেখে গেছেন। একটি হলো আল্লাহর কুরআন। আর অপরটি হলো তাঁর সুন্নত বা […]
যেভাবে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিলো ইমাম আবু হানিফাকে !
যুগে যুগে বহু ক্ষণজন্মা ব্যক্তিত্ব ইসলামের সেবা করে অমর হয়ে আছেন। ইমামে আজম হজরত আবু হানিফা (রহ.) তাদেরই একজন। তিনি ইসলামের জ্ঞান ভান্ডারে যে অবদান রেখে গেছেন, কিয়ামত পর্যন্ত মুসলিম উম্মাহ তার কাছে চিরঋণী হয়ে থাকবে। জন্ম ও বংশ পরিচয় ইমাম আজমের পূর্ব পুরুষরা আদিতে কাবুলের অধিবাসী হলেও ব্যবসায়িক সূত্রে তারা কুফাতে নিবাস গড়েন। তার […]
হারুত ও মারুত ফেরেশতার প্রেমকাহিনীঃ
পবিত্র কোরআন তাফসীর সহকারে পড়লে আপনি হয়তো এই ব্যাপারে জানতে পারতেন। আর হারুত ও মারুত দু’জন ফেরেশতা যোহরা নামক মহিলার প্রেমে পড়েছিলো মর্মে কোন সহীহ হাদীস নেই। হারূত ও মারূতকে নিয়ে কোরআনে একটি মাত্র আয়াত রয়েছে, সেই আয়াতটি হলো- وَاتَّبَعُوا مَا تَتْلُو الشَّيَاطِينُ عَلَىٰ مُلْكِ سُلَيْمَانَ ۖ وَمَا كَفَرَ سُلَيْمَانُ وَلَٰكِنَّ الشَّيَاطِينَ كَفَرُوا يُعَلِّمُونَ النَّاسَ […]
আমি মনে করি, ফেসবুকে যারা ইসলামের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি সম্পর্কে কথা বলেন এরা সাধারনত ৩ প্রকার। আপনাদের মন্তব্য অবশ্যই জানাবেন।
আমি মনে করি, ফেসবুকে যারা ইসলামের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি সম্পর্কে কথা বলেন এরা সাধারনত ৩ প্রকার। আপনাদের মন্তব্য অবশ্যই জানাবেন। যথাঃ ১. মাযহাব বিদ্বেষী। এদের কাজ হচ্ছেঃ মাযহাব খুবই পচা-গান্দা বিষয়, মাযহাবীরা সব মূর্খ, মাযহাব হচ্ছে জাহান্নামী ৭২ ফিরকার অন্তর্ভুক্ত, এসব বলে বেড়ানো। এদের আক্রমণ সাধারনত হানাফীদের প্রতি। হানাফী মাযহাব খারাপ, হানাফীরা বিদ’আতী, জাহান্নামী এসব বলে […]
প্রসঙ্গঃ নারীরা কি পাঁজরের হাঁড় হতে সৃষ্ট; বিচার-বিশ্লেষণঃ.
❑ ❐ নাস্তিকরা বলে তারা নারীদের খুবই সম্মান করে।তারা নাকি নারীবাদী। নারীর অধিকার আদায় সম্পর্কে তারা নাকি খুবই সক্রিয়।ইসলামে নারীদের অবমাননা করা হয়েছে,হাদিসে আছে নারীদের পাঁজরের হাঁড় দ্বারা সৃষ্টি করা হয়েছে।এর উত্তর দেওয়ার আগে আমার কিছু প্রশ্ন ছিল? দু পায়ে হনুরা আজ পর্যন্ত নারীদের জন্য কথার ফুলঝুড়ি বাদে আর কি করেছে? নারীদের অধিকার আদায়ের জন্য […]
Monthly Archives: December 2013
Videoএকটি ছোট্ট অনুরোধ
জীবনেতো অনেক বই পড়েছেন, হুমায়ুন আহমেদ,জাফর ইকবাল, সমরেশ মজুমদারদের মত নাস্তিকদের বই ও অনেক মনোযোগ সহ পড়েছেন। আর এই বইটা পড়তে অনুরোধ করছি আপনার ইমানকে একটু ঝালাই করার জন্য, আর এটাও যানতে পারবেন, আপনি আসলে কোন পথে আছেন। এই বইতে ইসলাম সম্বন্ধে বিভিন্ন ব্লগার ও শাহবাগীরা যেসব কটুক্তি করেছে সেগুলো দেওয়া আছে প্রমান সহ। তাদের বিরুদ্ধে করনীয় সবকিছু খুব সুন্দর ভাবে কোরান ও হাদীসের আলোকে ব্যাখ্যা করা আছে। পড়তে মাত্র ৬০ থেকে ৯০ মিনিট সময় লাগতে পারে।
খৃষ্টীয় নববর্ষ উদযাপন: শরিয়ত কি বলে?
খৃষ্টীয় নববর্ষ উদযাপন: শরিয়ত কি বলে?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আগমন করলেন। তাদের ক্রীড়া-উল্লাসের ছিল দুটি দিবস। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,’এ দিবস দুটি কি? ‘ উত্তরে তারা বললেন,’ জাহেলী যুগে দিবস দুটি ক্রীড়া-উল্লাসে কাটাতাম।‘ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,’আল্লাহ তাআলা এ দিবস দুটির পরিবর্তে উত্তম দুটি দিবস তোমাদেরকে দিয়েছেন- ঈদুল আযহা ও ঈদুল ফিতর। [ আবু দাউদ, আহমদ]
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আবু বকর রা. কে বললেন,
’হে আবু বকর! প্রত্যেক জাতিরই উৎসব রয়েছে, আর এটা আমাদের উৎসব।‘[ বুখারি ]
( তোমরা হলে সর্বোত্তম উম্মত, যাদেরকে বের করা হয়েছে মানুষের জন্য। তোমরা ভালো কাজের নির্দেশ দেবে ও মন্দ কাজ থেকে বারণ করবে, আর আল্লাহর প্রতি ঈমান আনবে। ) সূরা আল ইমরান: ১১০
তোমরা সত্তর উম্মতের সংখ্যা পূর্ণকারী। আর তোমরা এ সত্তর উম্মতের মধ্যে সর্বোত্তম এবং আল্লাহর কাছে অধিক সম্মানিত। [ আহমদ, তিরমিযি, ইবনে মাযাহ ও হাকেম ]
তিনি আরো বলেছেন,
’জান্নাতবাসীদের একশত বিশ কাতার হবে, তন্মধ্যে এ উম্মত হবে আশি কাতার।‘ [ তিরমিযি, ইবনে মাযাহ ও আহমদ ]
আবু হুরায়রা রা. হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
’আমরা কিয়ামত দিবসে শেষ ও শুরু, আমরা সর্বাগ্রে জান্নাতে প্রবেশকারী, যদিও তাদেরকে কিতাব দেয়া হয়েছে আমাদের পূর্বে, আর এসেছি তাদের পরে। তারা মতানৈক্য করেছে। তারা যে বিষয়ে মতানৈক্য করেছে আল্লাহ আমাদেরকে সে বিষয়ে সঠিক পথ দেখিয়েছেন। এটা সে দিবস যে দিবস সম্পর্কে তারা মতানৈক্য করেছে। আর আমাদেরকে আল্লাহ এ বিষয়ে হিদায়াত দিয়েছেন। অদ্যকার দিবস আমাদের। কালকেরটা ইহুদিদের এবং পরশু হল নাসারাদের।‘ [ বুখারি ও মুসলিম ]
এক ব্যক্তি বুওয়ানা নামক জায়গায় উট যবেহ করার মান্নত মানল। সে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বলল,’আমি বুওয়ানায় একটি উট যবেহ করার মান্নত করেছি। প্রত্যুত্তরে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,’ সেখানে কি জাহেলীযুগের কোনো মূর্তি পূজা হত? তারা বললেন,’ না।‘ তিনি বললেন,’সেখানে কি তাদের কোনো উৎসব হত? ‘ তারা বললেন,’ না।‘ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,’তোমার মান্নত পুরন করো। আর জেনে রাখো, আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ হয় এমন মান্নত পূর্ণ করতে নেই এবং এমন মান্নতও পুরন করতে নেই মানুষ যার অধিকার রাখে না।‘ [ আবু দাউদ ]
শায়খুল ইসলাম ইবেন তাইমিয়া র. তার প্রসিদ্ধ গ্রন্থ ( ইকতেযাউসিরাতিল মুসতাকিম মুখালাফাতু আসহাবিল জাহীম) – এ বলেন,’সিরাতুল মুসতাকীম হৃদয়ে অবস্থিত আন্তর বিষয়; যেমন আকিদা-বিশ্বাস, ইচ্ছা ইত্যাদি এবং বাহ্যিক বিষয়; যেমন কথা-কাজ, হতে পারে তা ইবাদত, হতে পারে তা খাবার, পোশাক, বিবাহ-শাদি, বাড়ি-ঘর, সম্মিলন ও বিচ্ছেদ, সফর-আরোহণ ইত্যাদি সংক্রান্ত। এইসব আন্তর ও বাহ্যিক বিষয়ের মাঝে সম্পর্ক রয়েছে। কেননা হৃদয়জগতে যে অনুভূতি আন্দোলিত হয় তা বিভিন্নভাবে বাহ্যদৃশ্যে রূপায়িত হতে বাধ্য, আবার বাহ্যিক কাজকর্মও হৃদয়ে তৎসংলগ্ন অনুভূতি জাগ্রত করে থাকে।
ইবনে তাইমিয়া র. আরো বলেন,’ এ হিকমতের মধ্যে আরেকটি হল, বাহ্যিক ক্ষেত্রে উল্টো করা ভিন্নতা ও বিচ্ছেদ সৃষ্টির কারণ হয়, যা করলে আল্লাহ নারাজ হন এবং যা কিছু পথহারা করে দেয় তা থেকে দূরে রাখে এবং হিদায়াতপ্রাপ্ত ও আল্লাহর সন্তুষ্টিপ্রাপ্তদের প্রতি আগ্র্র্রহী করে। আর এর দ্বারা মুমিন ও আল্লাহর শত্রুদের মাঝে সম্পর্কচ্ছেদের যে বিধান আল্লাহ তাআলা রেখেছেন তা বাস্তবায়িত হয়। আর হৃদয় যত বেশি জাগ্রত থাকবে, প্রকৃত ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞানের অধিকারি হবে- এখানে প্রকৃত ইসলাম বোজাচ্ছি, সাধারণভাবে মুসলমানতুল্য বেশভূষা ও বিশ্বাস পালনের কথা বলছি না।- ততোই বাহ্যত ও বিশ্বাসগতভাবে ইহুদি নাসারাদের থেকে আলাদা থাকার অনুভূতি পূর্ণতা পাবে। আর তাদের আচার-অভ্যাস, যা অনেক মুসলমানের মধ্যেই পাওয়া যায় তা থেকে দূরে থাকার মানসিকতা তৈরি হবে। উল্লিখিত হিকমতের মধ্যে আরেকটি হল, প্রকাশ্য বেশভূষায় সাদৃশ্যগহণ বাহ্যত মিলমিলাপ ও সংমিশ্রণ-সম্মিলন ঘটানোর কারণ হয়। হেদায়াতপ্রাপ্ত মুমিন এবং অভিশপ্তদের মাঝে ভিন্নতা ও বৈশিষ্ট্যের দেয়াল উঠে যায়। ধর্মীয় বিষয়ে নয় বরং সাধারণ ক্ষেত্রে তাদের সাদৃশ্যগ্রহণের বিষয়টি যদি এরূপ হয়, তাহলে যেসব বিষয় বিজাতীদের কাফের হওয়ার কারণ সেসব বিষয়ের ক্ষেত্রে তাদের অনুকরণের পাপ-অপরাধ তাদের পাপের মাত্রানুযায়ী নির্ধারিত হবে। এই মূলনীতিটি সবাইকে অনুধাবন করতে হবে।‘ [ ১/৮০-৮২ ]
Posted in Uncategorized
একশটি কবীরা গুনাহ
একশটি কবীরা গুনাহ
কবীরা গুনাহ কাকে বলে?
কবীরা গুনাহ বলা হয় ঐ সকল বড় বড় পাপকর্ম সমূহকে যেগুলোতে নিন্মোক্ত কোন একটি বিষয় পাওয়া যাবে:
যে সকল গুনাহের ব্যাপারে ইসলামে শরীয়তে জাহান্নামের শাস্তির কথা বলা হয়েছে।
যে সকল গুনাহের ব্যাপারে দুনিয়াতে নির্ধারিত দণ্ড প্রয়োগের কথা রয়েছে।
যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা রাগ করেন।
যে সকল কাজে আল্লাহ তায়ালা, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও ফেরেশতা মণ্ডলী লানত দেন।
যে কাজের ব্যাপারে বলা হয়েছে, যে এমনটি করবে সে মুসলমানদের দলভুক্ত নয়।
কিংবা যে কাজের ব্যাপারে আল্লাহ ও রাসূলের সাথে সম্পর্কহীনতার ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
যে কাজে দ্বীন নাই, ঈমান নাই ইত্যাদি বলা হয়েছে।
যে ব্যাপারে বলা হয়েছে ্এটি মুনাফিকের আলামত বা মুনাফিকের কাজ।
অথবা যে কাজকে আল্লাহ তায়ালা সাথে যুদ্ধ ঘোষণা করা হয় করা বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
কবীরা গুনাহ থেকে বিরত থাকার মর্যাদাঃ
১. মহান আল্লাহ বলেন:
إِن تَجْتَنِبُوا كَبَائِرَ مَا تُنْهَوْنَ عَنْهُ نُكَفِّرْ عَنكُمْ سَيِّئَاتِكُمْ وَنُدْخِلْكُم مُّدْخَلًا كَرِيمًا
“যেগুলো স¤পর্কে তোমাদের নিষেধ করা হয়েছে যদি তোমরা সেসব বড় গোনাহ গুলো থেকে বেঁচে থাকতে পার। তবে আমি তোমাদের (ছাট) গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেব এবং সম্মান জনক স্থানে তোমাদের প্রবেশ করাব।” (সূরা নিসা: ৩১)
২. রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেন:
الصلوات الخمس . والجمعة إلى الجمعة . ورمضان إلى رمضان . مكفرات ما بينهن إذا اجتنب الكبائر
“পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমআ থেকে আরেক জুমআ এবং এক রামাযান থেকে আরেক রামাযান এতদুভয়ের মাঝে সংঘটিত সমস্ত পাপরাশীর জন্য কাফফারা স্বরূপ যায় যদি কবীরা গুনাহ সমূহ থেকে বেঁচে থাকা যায়।” (মুসলিম)
১০০টি কবীরা গুনাহ:
আল্লাহর সাথে শিরক করা
নামায পরিত্যাগ কর
পিতা-মাতার অবাধ্য হওয়া
অন্যায়ভাবে মানুষ হত্যা করা
পিতা-মাতাকে অভিসম্পাত করা
যাদু-টোনা করা
এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা
জিহাদের ময়দান থেকে থেকে পলায়ন করা
সতী-সাধ্বী মু‘মিন নারীর প্রতি অপবাদ দেয়া
রোযা না রাখা
যাকাত আদায় না করা
ক্ষমতা থাকা সত্যেও হজ্জ আদায় না করা
যাদুর বৈধতায় বিশ্বাস করা
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
অহংকার করা
চুগলখোরি করা (ঝগড়া লাগানোর উদ্দেশ্যে একজনের কথা আরেকজনের নিকট লাগোনো)
আত্মহত্যা করা
আত্মীয়তা সম্পর্ক ছিন্ন করা
অবৈধ পথে উপার্জিত অর্থ ভক্ষণ করা
উপকার করে খোটা দান করা
মদ বা নেশা দ্রব্য গ্রহণ করা
মদ প্রস্তুত ও প্রচারে অংশ গ্রহণ করা
জুয়া খেলা
তকদীর অস্বীকার করা
অদৃশ্যের খবর জানার দাবী করা
গণকের কাছে ধর্না দেয়া বা গণকের কাছে অদৃশ্যের খবর জানতে চাওয়া
পেশাব থেকে পবিত্র না থাকা
রাসূল (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর নামে মিথ্যা হাদীস বর্ণনা করা
মিথ্যা স্বপ্ন বর্ণনা করা
মিথ্যা কথা বলা
মিথ্যা কসম খাওয়া
মিথ্যা কসমের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা
জিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়া
সমকামিতায় লিপ্ত হওয়া
মানুষের গোপন কথা চুপিসারে শোনার চেষ্টা করা
হিল্লা তথা চুক্তি ভিত্তিক বিয়ে করা।
যার জন্যে হিলা করা হয়
মানুষের বংশ মর্যাদায় আঘাত হানা
মৃতের উদ্দেশ্যে উচ্চস্বরে ক্রন্দন করা
মুসলিম সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা
মুসলিমকে গালি দেয়া অথবা তার সাথে লড়ায়ে লিপ্ত হওয়া
খেলার ছলে কোন প্রাণীকে নিক্ষেপ যোগ্য অস্ত্রের লক্ষ্য বস্তু বানানো
কোন অপরাধীকে আশ্রয় দান করা
আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নামে পশু জবেহ করা
ওজনে কম দেয়া
ঝগড়া-বিবাদে অশ্লীল ভাষা প্রয়োগ করা
ইসলামী আইনানুসারে বিচার বা শাসনকার্য পরিচালনা না করা
জমিনের সীমানা পরিবর্তন করা বা পরের জমি জবর দখল করা
গীবত তথা অসাক্ষাতে কারো দোষ চর্চা করা
দাঁত চিকন করা
সৌন্দর্যের উদ্দেশ্যে মুখ মণ্ডলের চুল তুলে ফেলা বা চুল উঠিয়ে ভ্রু চিকন করা
অতিরিক্ত চুল সংযোগ করা
পুরুষের নারী বেশ ধারণ করা
নারীর পুরুষ বেশ ধারণ করা
বিপরীত লিঙ্গের প্রতি কামনার দৃষ্টিতে তাকানো
কবরকে মসজিদ হিসেবে গ্রহণ করা
পথিককে নিজের কাছে অতিরিক্ত পানি থাকার পরেও না দেয়া
পুরুষের টাখনুর নিচে ঝুলিয়ে পোশাক পরিধান করা
মুসলিম শাসকের সাথে কৃত বাইআত বা আনুগত্যের শপথ ভঙ্গ করা
ডাকাতি করা
চুরি করা
সুদ লেন-দেন করা, সুদ লেখা বা তাতে সাক্ষী থাকা
ঘুষ লেন-দেন করা
গনিমত তথা জিহাদের মাধ্যমে কাফেরদের নিকট থেকে প্রাপ্ত সম্পদ বণ্টনের পূর্বে আত্মসাৎ করা
স্ত্রীর পায়ু পথে যৌন ক্রিয়া করা
জুলুম-অত্যাচার করা
অস্ত্র দ্বারা ভয় দেখানো বা তা দ্বারা কাউকে ইঙ্গিত করা
প্রতারণা বা ঠগ বাজী করা
রিয়া বা লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে সৎ আমল করা
স্বর্ণ বা রৌপ্যের তৈরি পাত্র ব্যবহার করা
পুরুষের রেশমি পোশাক এবং স্বর্ণ ও রৌপ্য পরিধান করা
সাহাবীদের গালি দেয়া
নামাযরত অবস্থায় মুসল্লির সামনে দিয়ে গমন করা
মনিবের নিকট থেকে কৃতদাসের পলায়ন
ভ্রান্ত মতবাদ জাহেলী রীতিনীতি অথবা বিদআতের প্রতি আহবান করা
পবিত্র মক্কা ও মদীনায় কোন অপকর্ম বা দুষ্কৃতি করা
কোন দুষ্কৃতিকারীকে প্রশ্রয় দেয়া
আল্লাহর ব্যাপারে অনধিকার চর্চা করা
বিনা প্রয়োজনে তালাক চাওয়া
যে নারীর প্রতি তার স্বামী অসন্তুষ্ট
স্বামীর অবাধ্য হওয়া
স্ত্রী কর্তৃক স্বামীর অবদান অস্বীকার করা
স্বামী-স্ত্রীর মিলনের কথা জনসম্মুখে প্রকাশ করা
স্বামী-স্ত্রীর মাঝে বিবাদ সৃষ্টি করা
বেশী বেশী অভিশাপ দেয়া
বিশ্বাস ঘাতকতা করা
অঙ্গীকার পূরণ না করা
আমানতের খিয়ানত করা
প্রতিবেশীকে কষ্ট দেয়া
ঋণ পরিশোধ না করা
বদ মেজাজি ও এমন অহংকারী যে উপদেশ গ্রহণ করে না
তাবিজ-কবজ, রিং, সুতা ইত্যাদি ঝুলানো
পরীক্ষায় নকল করা
ভেজাল পণ্য বিক্রয় করা
ইচ্ছাকৃত ভাবে জেনে শুনে অন্যায় বিচার করা
আল্লাহ বিধান ব্যতিরেকে বিচার-ফয়সালা করা
দুনিয়া কামানোর উদ্দেশ্যে দীনী ইলম অর্জন করা
কোন ইলম সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে জানা সত্যেও তা গোপন করা
নিজের পিতা ছাড়া অন্যকে পিতা বলে দাবী করা
আল্লাহর রাস্তায় বাধা দেয়া
(সমাপ্ত)
Posted in Uncategorized
কিছু গুরুত্ব পূর্ন ওয়েবসাইট
(কোন সাইটে ঢুকতে অসুবিধা হলে ওয়েব এড্রেস কপি করে আড্রেস বারে লিখুন)
1. www.preachingauthenticislaminbangla.blogspot.com
4. www.jumuarkhutba.wordpress.com
7. www.gurabamedia.wordpress.com
9. www.dawahilallah.wordpress.com
13. www.islamiboi.wordpress.com
14. www.tawheedpublications.com
Posted in Uncategorized
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু
১। আবূ উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘‘তোমরা কুরআন মাজীদ পাঠ করো। কেননা, কিয়ামতের দিন কুরআন, তার পাঠকের জন্য সুপারিশকারী হিসাবে আগমন করবে’’। (মুসলিম ৮০৪)
২। নাওয়াস ইবনে সামআন (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, ‘‘কুরআন ও ইহজগতে তার উপর আমলকারীদেরকে (বিচারের দিন মহান আল্লাহর সামনে) পেশ করা হবে। সূরা বাক্কারাহ ও সূরা আলে ইমরান তার আগে আগে থাকবে এবং তাদের পাঠকারীদের সপক্ষে (প্রভুর সঙ্গে) বাদানুবাদে লিপ্ত হবে। (মুসলিম ৮০৫)
৩। উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘তোমাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যক্তি সেই; যে নিজে কুরআন শেখে ও অপরকে শিক্ষা দেয়’’। (বুখারী ৫০২৭)
৪। আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘কুরআনের (শুদ্ধভাবে পাঠকারী ও পানির মত হিফযকারী পাকা) হাফেয মহাসস্মমানিত পুণ্যবান লিপিকার (ফিরিশতাবর্গের) সঙ্গী হবে। আর যে ব্যক্তি (পাকা হিফয না থাকার কারনে) কুরআন পাঠে ‘ওঁ-ওঁ’ করে এবং পড়তে কষ্টবোধ করে, তার জন্য রয়েছে দুটি সওয়াব।” (একটি তেলায়ত ও দ্বিতীয়টি কষ্টের দরণ)। (বুখারী ৪৯৩৭, মুসলিম ৭৯৮)
৫। আবূ মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘কুরআন পাঠকারী মুমিনের হচ্ছে ঠিক কমলা লেবুর মত; যার ঘ্রাণ উওম এবং স্বাদও উওম।আর যে মুমিন কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক খেজুরের মত; যার (উওম) ঘ্রাণ তো নেই, তবে স্বাদ মিষ্ট। (অন্যদিকে) কুরআন পাঠকারী মুনাফিকের দৃষ্টান্ত হচ্ছে সুগন্ধিময় (তুলসি) গাছের মত; যার ঘ্রাণ উওম কিন্ত স্বাদ তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পড়ে না তার উদাহরণ হচ্ছে ঠিক মাকাল ফলের মত; যার (উওম) ঘ্রাণ নেই, স্বাদও তিক্ত।’’ (বুখারী ৫০২০, মুসলিম ৭৯৭)
৬। উমর ইবনে খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘ মহান আল্লাহ এই গ্রন্থ (কুরআন মাজীদ) দ্বারা (তার উপর আমলকারী) জনগোষ্ঠীর উত্থান ঘটান এবং এরই দ্বারা (এর অবাধ্য) অন্য গোষ্ঠীর পতন সাধন করেন’’। (মুসলিম ৮১৭)
৭। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) কর্তক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘দুজনের ক্ষেত্রে ঈষা করা সিদ্ধ। (১) যাকে আল্লাহ কুরআন (মুখস্ত করার শক্তি) দান করেছেন, সুতরাং সে ওর (আলোকে) দিবা-রাত্রি পড়ে ও আমল করে। (২) যাকে আল্লাহ তাআলা মালধন দান করেছেন এবং সে (আল্লাহর পথে ) দিন-রাত ব্যয় করে’’। (বুখারী ৫০২৫)
৮। বারা’ইবনে আযেব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘ একদা একটি লোক সূরা কাহাফ পাঠ করছিল। তার পাশেই দু’টো রশি দিয়ে একটি ঘোড়া বাঁধা ছিল। ইতোমধ্যা লোকটিকে একটি মেঘে ঢেকে নিল। মেঘটি লোকটির নিকটবর্তী হতে থাকলে ঘোড়াটি তা দেখে চমকাতে আরম্ভ করল। অতঃপর যখন সকাল হল তখন লোকটি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর দরবারে হাজির হয়ে উক্ত ঘটনা বর্ণনা করল। তা (শুনে) তিনি বললেন, ‘‘ওটি প্রশান্তি ছিল, যা তোমার কুরআন পড়ার দরণ অবতীর্ণ হয়েছে।’’ (বুখারী ৫০১১, মুসলিম ৭৯৫)
৯। আব্দল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কিতাব ( কুরআন মাজীদ) এর একটি বর্ন পাঠ করবে ,তার একটি নেকী হবে। আর একটি নেকি দশটি নেকীর সমান হয়। আমি বলছি না যে, ‘আলিফ-লাম-মীম’ একটি বর্ন; বরং আলিফ একটি বর্ন, লাম একটি বর্ন, মীম একটি বর্ন।’’ (অর্থাৎ, তিনটি বর্ন দ্বারা গঠিত ‘আলিফ-লাম-মীম’, যার নেকীর সংখ্যা হবে তিরিশ।) (তিরমিযী ২৯১০, হাসান)
১০। আব্দুল্লাহ ইবনে আমর ইবনে আস (রাঃ) কর্তক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘পবিত্র কুরআন পাঠক, হাফেয ও তার উপর আমলকারীকে ( কিয়ামতের দিন) বলা হবে, ‘তুমি কুরআন কারীম পড়তে থাকো ও চড়তে থাকো। আর ঠিক সেইভাবে স্পষ্ট ও ধীরে ধীরে পড়তে থাকো, যেভাবে দুনিয়াতে পড়তে। কেননা , (জান্নাতের ভিতর) তোমার স্থান ঠিক সেখানে হবে, যেখানে তোমার শেষ আয়াতটি খতম হবে।” ( আবূ দাউদ ১৮৬৮, তিরমীযি ২৯১৪ হাসান)
কুরআন মাজীদ সযত্নে নিয়মিত পড়া ও তা ভুলে যাওয়া থেকে সতর্ক থাকার নির্দেশ
১। আবূ মুসা আশারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘এই কুরআনের প্রতি যত্ন নাও। (অর্থাৎ, নিয়মিত পড়তে থাকো ও তার চর্চা রাখো।) সেই মহান সত্তার কসম, যার হাতে মুহাম্মাদের (সাঃ) জীবন আছে, উট যেমন তার রশি থেকে অতর্কিতে বের হয়ে যায়, তার চেয়ে অধিক অতর্কিতে কুরআন (স্মৃতি থেকে) বের হয়ে (বিস্মৃতি হয়ে) যায়।” (অর্থাৎ, অতি শীঘ্র ভুলে যাবার সম্ভাবনা থাকে।)( মুসলিম ৭৯১)
২। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “কুরআন-ওয়ালা হল বাঁধা উট-ওয়ালার মত। সে যদি তা বাঁধার পর তার যথারীতি দেখাশুনা করে, তাহলে বাঁধাই থাকবে। নচেৎ ঢিল দিলেই উট পালিয়ে যাবে।” (সহীহুল বুখারি ৫০৩১)
সুললিত কণ্ঠে কুরআন পড়া মুস্তাহাব। মধুরকণ্ঠ ক্বারীকে তা পড়ার আবেদন করা ও তা মনোযোগ সহকারে শোনা
১। আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-কে এ কথা বলতে শুনেছি যে, “মহান আল্লাহ এভাবে উৎকর্ন হয়ে কোন কথা শুনেন না, যেভাবে সেই মধুরকণ্ঠী পয়গাম্বারের প্রতি উৎকর্ন হয়ে শুনেন, যিনি মধুর কণ্ঠে উচ্চ স্বরে কুরআন মাজীদ পড়তেন।” (সহীহুল বুখারি ৭৫৪৪)
আল্লাহর উৎকর্ন হয়ে শুনার মধ্যে এ কথার ইঈিত রয়েছে যে, তিনি সেই তেলাঅতে সন্তুষ্ট হন এবং তা কবুল করেন।
২। আবূ মুসা আশারী (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বললেন, ‘‘ তোমাদের দাউদের সুললিত কণ্ঠের মত মধুর কণ্ঠ দান করা হয়েছে।” (সহীহুল বুখারী ৫০৪৮)। মুসলিমের এক বর্ণনায় আছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বললেন, “যদি তুমি আমাকে গত রাতে তোমার তেলাওয়াত শোনা অবস্থায় দেখতে (তাহলে তুমি কতই না খুশী হতে)!”
৩। বারা’ ইবনে আযব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘‘আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) –কে এশার নামাযে সূরা ‘অততীন অযযাইতুন’ পড়তে শুনেছি। বস্তুতঃ আমি তার চেয়ে মধুর কণ্ঠ আর কারো শুনিনি।” (সহীহুল বুখারী ৭৬৭, মুসলিম ৪৬৪)
৪। আবূ লুবাবাহ বাশীর ইবনে আব্দুল মুনযির (রাঃ) হতে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) তাকে বললেন, ‘‘যে ব্যক্তি মিষ্ট স্বরে কুরআন পড়ে না, সে আমাদের মধ্যে নয়।” (অর্থাৎ আমাদের তরীকা ও নীতি-আদর্শ বহিভূত)। (আবূ দাউদ ১৪৭১, উওম সূএে)
৫। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসাউদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘ (হে ইবনে মাসাউদ) আমাকে কুরআন পড়ে শুনাও।” আমি বললাম ‘হে আল্লাহর রসূল! আমি আপনাকে পড়ে শুনাব, অথচ আপনার উপরে তা অবতীর্ণ করা হয়েছে? তিনি বললেন, “অপরের মুখ থেকে (কুরাআন পড়া) শুনতে আমি ভালবাসি”। সুতরাং তার সামনে আমি সূরা নিসা পড়তে লাগলাম, পড়তে পড়তে যখন এই (৪১নং) আয়াতে পৌছালাম…
যার অর্থ, “তখন তাদের কি আবস্থা হবে, যখন প্রত্যেক সম্প্রদায় থেকে একজন সাক্ষী উপস্থিত করব এবং তোমাকেও তাদের সাক্ষী রূপে উপস্থিত করব?” তখন তিনি বললেন “যথেষ্ট, এখন থাম”। অতঃপর আমি তার দিকে ফিরে দেখি,তার নয়ন যুগল অশ্রু ঝরাচ্ছে। (সহীহুল বুখারী ৪৪৭৪)
কুরআন পঠন-পাঠনের জন্য সমবেত হওয়া মুস্তাহাব
আবূ হুরাইরা(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘‘যখনই কোন সম্প্রদায় আল্লাহর ঘরসমুহের মধ্যে কোন এক ঘরে একত্রিত হয়ে আল্লাহর গ্রন্থ (কুরআন)পাঠ করে, তা নিয়ে পরস্পরের মধ্যে অধ্যয়ন করে, তাহলে তাদের প্রতি (আল্লাহর পক্ষ থেকে) প্রশান্তি অবতীর্ণ হয় এবং তাদেরকে তাঁর রহমত ঢেকে নেয়, আর ফেরেশতাবর্গ তাদেরকে ঘিরে ফেলেন। আল্লাহ স্বীয়ং তাঁর নিকট ফেরেশতামণ্ডলীর কাছে তাদের কথা আলচনা করেন।’’ (মুসলিম ২৬৯৯)
Posted in Uncategorized