Monthly Archives: January 2014

বর্তমান সমাজে জিহাদ বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অপপ্রচার চলছে সেটা হল “নফসের জিহাদ বড় জিহাদ” এই কথা বলে মানুষকে প্রকৃত জিহাদ/ক্বিতাল থেকে বিরত রাখা হচ্ছে…

সহীহ হাদীসে আছেঃ

المُجَاهِدُ مَنْ جَاهَدَ نَفْسَهُ

“মুজাহিদ সেই যে তার নাফসের সাথে জিহাদ করে।” (সুনান তিরমিজি)

অন্য রেওয়ায়েতে এসেছে

وأفضل الجهاد من جاهد نفسه فى ذات الله عز وجل

“সর্বত্তোম জিহাদ হলো আল্লাহর বিধানের ব্যাপারে অন্তরের সাথে জিহাদ করা।” (জামউল জাওয়ামি, কানযুল উম্মাল)

এই সহীহ হাদীসে এখানে সরাসরি অন্তরের জিহাদকে কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদের তুলনায় বড় জিহাদ হিসাবে উল্লেখ করা হয়নি। শুধু বলা হয়েছে অন্তরের জিহাদ সর্বত্তোম জিহাদ।

এখন প্রশ্ন হলো অন্তরের জিহাদ বলতে আমরা কি বুঝবো? আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে অন্তর যা অপছন্দ করে অন্তরের অপছন্দ সত্বেও সেটা আদায় করাই কি অন্তরের জিহাদ নয়? যদি তাই হয় তবে আল্লাহ নিজে সাক্ষ্য দিয়ে বলেন,

كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَكُمْ

“তোমাদের উপর কিতাল ফরজ করা হয়েছে যদিও তা তোমাদের নিকট অপছন্দনীয়।” (সূরা বাকারা/২১৬)

অন্য কোনো আমলের ব্যাপারে আল্লাহ একথা বলেননি সুতরাং যত উত্তম কাজ আছে তার মধ্যে কাফিরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা মানুষের অন্তরের নিকট সর্বাপেক্ষা বেশি অপছন্দনীয় তাই যারা শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদ করছেন তারাই অন্তরের সাথে সর্বাপেক্ষা বেশি জিহাদ করছেন।

জ্বিহাদ সম্পর্কিত পবিত্র কোরানের আয়াত

সূরা আনফাল

-আমি কাফেরদের মনে ভীতির সঞ্চার করে দেব। কাজেই গর্দানের উপর আঘাত হান এবং তাদেরকে কাট জোড়ায় জোড়ায়। যেহেতু তারা অবাধ্য হয়েছে আল্লাহ এবং তাঁর রসূলের, সেজন্য এই নির্দেশ। বস্তুতঃ যে লোক আল্লাহ ও রসূলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে আল্লাহর শাস্তি অত্যন্ত কঠোর। (সূরা আনফালঃ ১২-১৩)

-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কাফেরদের সাথে মুখোমুখী হবে, তখন পশ্চাদপসরণ করবে না।(সূরা আনফালঃ১৫)

-আর যে লোক সেদিন তাদের থেকে পশ্চাদপসরণ করবে, অবশ্য যে লড়াইয়ের কৌশল পরিবর্তনকল্পে কিংবা যে নিজ সৈন্যদের নিকট আশ্রয় নিতে আসে সে ব্যতীত অন্যরা আল্লাহর গযব সাথে নিয়ে প্রত্যাবর্তন করবে। আর তার ঠিকানা হল জাহান্নাম। বস্তুতঃ সেটা হল নিকৃষ্ট অবস্থান। (সূরা আনফালঃ১৬)

-সুতরাং তোমরা তাদেরকে হত্যা করনি, বরং আল্লাহই তাদেরকে হত্যা করেছেন।(সূরা আনফালঃ১৭)

-হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর এবং শোনার পর তা থেকে বিমুখ হয়ো না।আর তাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না, যারা বলে যে, আমরা শুনেছি, অথচ তারা শোনেনা। (সূরা আনফালঃ২০-২১)

-হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তাঁরই নিকট সমবেত হবে।(সূরা আনফালঃ২৪)

-আর জেনে রাখ, তোমাদের ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি অকল্যাণের সম্মুখীনকারী। বস্তুতঃ আল্লাহর নিকট রয়েছে মহা সওয়াব। (সূরা আনফালঃ২৮)

-নিঃসন্দেহে যেসব লোক কাফের, তারা ব্যয় করে নিজেদের ধন-সম্পদ, যাতে করে বাধাদান করতে পারে আল্লাহর পথে। বস্তুতঃ এখন তারা আরো ব্যয় করবে। তারপর তাই তাদের জন্য আক্ষেপের কারণ হয়ে এবং শেষ পর্যন্ত তারা হেরে যাবে। আর যারা কাফের তাদেরকে দোযখের দিকে তাড়িয়ে নিয়ে যাওয়া হবে। (সূরা আনফালঃ৩৬)

-হে ঈমানদারগণ, তোমরা যখন কোন বাহিনীর সাথে সংঘাতে লিপ্ত হও, তখন সুদৃঢ় থাক এবং আল্লাহকে অধিক পরিমাণে স্মরণ কর যাতে তোমরা উদ্দেশ্যে কৃতকার্য হতে পার। (সূরা আনফালঃ৪৫)

-আর প্রস্তুত কর তাদের সাথে যুদ্ধের জন্য যাই কিছু সংগ্রহ করতে পার নিজের শক্তি সামর্থ্যের মধ্যে থেকে যেন প্রভাব পড়ে আল্লাহর শুত্রুদের উপর এবং তোমাদের শত্রুদের উপর আর তাদেরকে ছাড়া অন্যান্যদের উপর ও যাদেরকে তোমরা জান না; আল্লাহ তাদেরকে চেনেন। বস্তুতঃ যা কিছু তোমরা ব্যয় করবে আল্লাহর রাহে, তা তোমরা পরিপূর্ণভাবে ফিরে পাবে এবং তোমাদের কোন হক অপূর্ণ থাকবে না। (সূরা আনফালঃ৬০)

-হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দু’শর মোকাবেলায়। আর যদি তোমাদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। (সূরা আনফালঃ৬৫)

 

সূরা তওবা

আর যদি ভঙ্গ করে তারা তাদের শপথ প্রতিশ্রুতির পর এবং বিদ্রুপ করে তোমাদের দ্বীন সম্পর্কে, তবে কুফর প্রধানদের সাথে যুদ্ধ কর। (সূরা তাওবাঃ১২)

তোমরা কি সেই দলের সাথে যুদ্ধ করবে না; যারা ভঙ্গ করেছে নিজেদের শপথ এবং সঙ্কল্প নিয়েছে রসূলকে বহিস্কারের? আর এরাই প্রথম তোমাদের সাথে বিবাদের সূত্রপাত করেছে।তোমরা কি তাদের ভয় কর?অথচ তোমাদের ভয়ের অধিকতর যোগ্য হলেন আল্লাহ, যদি তোমরা মুমিন হও। (সূরা তওবা:১৩)

যুদ্ধ কর ওদের সাথে,আল্লাহ তোমাদের হস্তে তাদের শাস্তি দেবেন। তাদের লাঞ্ছিত করবেন,তাদের বিরুদ্ধে তোমাদের জয়ী করবেন,এবং মুসলমানদের অন্তরসমূহ শান্ত করবেন। (সূরা তওবা:১৪)

নিঃসন্দেহে তারাই আল্লাহর মসজিদ আবাদ করবে যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও শেষ দিনের প্রতি এবং কায়েম করেছে নামায ও আদায় করে যাকাত; আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে ভয় করে না। অতএব, আশা করা যায়, তারা হেদায়েত প্রাপ্তদের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরা তওবা:১৮)

হে ঈমানদারগণ!তোমরা স্বীয় পিতা ও ভাইদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করো না, যদি তারা ঈমান অপেক্ষা কুফরকে ভালবাসে। আর তোমাদের যারা তাদের অভিভাবকরূপে গ্রহণ করে তারা সীমালংঘনকারী। (সূরা তাওবাঃ২৩)

তারপর আল্লাহ নাযিল করেন নিজের পক্ষ থেকে সান্ত্বনা, তাঁর রসূল ও মুমিনদের প্রতি এবং অবতীর্ণ করেন এমন সেনাবাহিনী যাদের তোমরা দেখতে পাওনি।আর শাস্তি প্রদান করেন কাফেরদের এবং এটি হল কাফেরদের কর্মফল।(সূরা তাওবাঃ২৬)

তোমরা যুদ্ধ কর ঐ লোকদের সাথে, যারা আল্লাহ ও রোজ হাশরে ঈমান রাখে না, আল্লাহ ও তাঁর রসূল যা হারাম করে দিয়েছেন তা হারাম করে না এবং গ্রহণ করে না সত্য ধর্ম।(সূরা তাওবাঃ২৯)

আর মুশরিকদের সাথে তোমরা যুদ্ধ কর সমবেতভাবে, যেমন তারাও তোমাদের সাথে যুদ্ধ করে যাচ্ছে সমবেতভাবে।আর মনে রেখো, আল্লাহ মুত্তাকীনদের সাথে রয়েছেন।(সূরা তাওবাঃ৩৬)

হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কি হল, যখন আল্লাহর পথে বের হবার জন্যে তোমাদের বলা হয়, তখন মাটি জড়িয়ে ধর,তোমরা কি আখেরাতের পরিবর্তে দুনিয়ার জীবনে পরিতুষ্ট হয়ে গেলে?অথচ আখেরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনের উপকরণ অতি অল্প।(সূরা তাওবাঃ৩৮)

যদি বের না হও, তবে আল্লাহ তোমাদের মর্মন্তুদ আযাব দেবেন এবং অপর জাতিকে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করবেন। তোমরা তাঁর কোন ক্ষতি করতে পারবে না,আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে শক্তিমান। (সূরা তাওবাঃ৩৯)

তোমরা বের হয়ে পড় স্বল্প বা প্রচুর সরঞ্জামের(এখানে সরঞ্জাম বলতে অস্ত্রের কথা বলা হয়েছে) সাথে এবং জেহাদ কর আল্লাহর পথে নিজেদের মাল ও জান দিয়ে, এটি তোমাদের জন্যে অতি উত্তম, যদি তোমরা বুঝতে পার।” (সূরা তওবাঃ৪১)

তারা কি একথা জেনে নেয়নি যে, আল্লাহর সাথে এবং তাঁর রসূলের সাথে যে মোকাবেলা করে তার জন্যে নির্ধারিত রয়েছে দোযখ; তাতে সব সময় থাকবে।এটিই হল মহা-অপমান।(সূরা তাওবাঃ৬৩)

হে নবী, কাফেরদের সাথে যুদ্ধ করুন এবং মুনাফেকদের সাথে তাদের সাথে কঠোরতা অবলম্বন করুন।তাদের ঠিকানা হল দোযখ এবং তাহল নিকৃষ্ট ঠিকানা।(সূরা তাওবাঃ৭৩)

আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত।তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারে ও মরে।আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক?সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেন-দেনের উপর, যা তোমরা করছ তাঁর সাথে।আর এ হল মহান সাফল্য। (সূরা তাওবাঃ১১১)

হে মুমিনগন, ঐ কাফেরদের সাথে যুদ্ধকর যারা তোমাদের নিকটবর্তী, যেন তারা তোমাদের মাঝে কঠোরতা খুঁজে পায়, আর জেনে রাখ আল্লাহ মুত্তাকীদের সাথে রয়েছেন। (সূরা তাওবাঃ ১২৩)

 

সুরা নিসা

হে ঈমানদারগণ! নিজেদের অস্ত্র তুলে নাও এবং পৃথক পৃথক সৈন্যদলে কিংবা সমবেতভাবে বেরিয়ে পড়। (সুরা নিসা-৭১)

আর তোমাদের মধ্যে এমনও কেউ কেউ রয়েছে,যারা অবশ্য বিলম্ব করবে এবং তোমাদের উপর কোন বিপদ উপস্থিত হলে বলবে, আল্লাহ আমার প্রতি অনুগ্রহ করেছেন যে, আমি তাদের সাথে যাইনি।(সুরা নিসা-৭২)

পক্ষান্তরে তোমাদের প্রতি আল্লাহর পক্ষ থেকে কোন অনুগ্রহ আসলে তারা এমন ভাবে বলতে শুরু করবে যেন তোমাদের মধ্যে এবং তাদের মধ্যে কোন মিত্রতাই ছিল না।(বলবে) হায়, আমি যদি তাদের সাথে থাকতাম, তাহলে আমি ও যে সফলতা লাভ করতাম। (সুরা নিসা-৭৩)

কাজেই আল্লাহর কাছে যারা পার্থিব জীবনকে আখেরাতের পরিবর্তে বিক্রি করে দেয় তাদের জেহাদ করাই কর্তব্য।বস্তুতঃ যারা আল্লাহর রাহে লড়াই করে এবং অতঃপর মৃত্যুবরণ করে কিংবা বিজয় অর্জন করে, আমি তাদেরকে মহাপুণ্য দান করব। (সুরা নিসা-৭৪)

আর তোমাদের কি হল যে, তেমারা আল্লাহর রাহে লড়াই করছ না দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে,যারা বলে, হে আমাদের পালনকর্তা! আমাদিগকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান কর; এখানকার অধিবাসীরা যে, অত্যাচারী!আর তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারণ করে দাও এবং তোমার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারণ করে দাও।(সুরা নিসা-৭৫)

যারা ঈমানদার তারা যে, জেহাদ করে আল্লাহর রাহেই।পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে শয়তানের পক্ষে সুতরাং তোমরা জেহাদ করতে থাক শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল।(সুরা নিসা-৭৬)

তুমি কি সেসব লোককে দেখনি, যাদেরকে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল যে, তোমরা নিজেদের হাতকে সংযত রাখ, নামায কায়েম কর এবং যাকাত দিতে থাক? অতঃপর যখন তাদের প্রতি জেহাদের নির্দেশ দেয়া হল, তৎক্ষণাৎ তাদের মধ্যে একদল লোক মানুষকে ভয় করতে আরম্ভ করল, যেমন করে ভয় করা হয় আল্লাহকে। এমন কি তার চেয়েও অধিক ভয়।আর বলতে লাগল, হায় পালনকর্তা, কেন আমাদের উপর যুদ্ধ ফরজ করলে!আমাদেরকে কেন আরও কিছুকাল অবকাশ দান করলে না।(হে রসূল) তাদেরকে বলে দিন, পার্থিব ফায়দা সীমিত। আর আখেরাত পরহেযগারদের জন্য উত্তম। আর তোমাদের অধিকার একটি সূতা পরিমান ও খর্ব করা হবে না। (সুরা নিসা-৭৭)

 

সূরা মায়েদাহ

যারা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের বিপক্ষে সংগ্রাম করে এবং দেশে হাঙ্গামা সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের শাস্তি হচ্ছে এই যে,তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শূলীতে চড়ানো হবে অথবা তাদের হস্তপদসমূহ বিপরীত দিক থেকে কেটে দেয়া হবে অথবা দেশ থেকে বহিষ্কার করা হবে।এটি হল তাদের জন্য পার্থিব লাঞ্ছনা আর পরকালে তাদের জন্যে রয়েছে কঠোর শাস্তি। (সূরা মায়েদাহ-৩৩)

হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর,তাঁর নৈকট্য অন্বেষন কর এবং তাঁর পথে জেহাদ কর যাতে তোমরা সফলকাম হও।(সূরা মায়েদাহ-৩৫)

যারা কাফের, যদি তাদের কাছে পৃথিবীর সমুদয় সম্পদ এবং তৎসহ আরও তদনুরূপ সম্পদ থাকে আর এগুলো বিনিময়ে দিয়ে কিয়ামতের শাস্তি থেকে পরিত্রান পেতে চায়, তবুও তাদের কাছ থেকে তা কবুল করা হবে না।তাদের জন্যে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি রয়েছে। (সূরা মায়েদাহ-৩৬)

হে রসূল, তাদের জন্যে দুঃখ করবেন না, যারা দৌড়ে গিয়ে কুফরে পতিত হয়; যারা মুখে বলেঃ আমরা মুসলমান, অথচ তাদের অন্তর মুসলমান নয় এরা এমনিই যে, আল্লাহ এদের অন্তরকে পবিত্র করতে চান না। তাদের জন্যে রয়েছে দুনিয়াতে লাঞ্ছনা এবং পরকালে বিরাট শাস্তি।(সূরা মায়েদাহ-৪১)

তারা কি জাহেলী আইন ও শাসন চায়?বিশ্বাসী কওমের জন্য আল্লাহর আইন ও শাসনের চেয়েকার আইন ও শাসন উত্তম হতে পারে, (আল- মায়েদাহ: ৫০)

অচিরে আল্লাহ এমন সম্প্রদায় সৃষ্টি করবেন, যাদেরকে তিনি ভালবাসবেন এবং তারা তাঁকে ভালবাসবে। তারা মুসলমানদের প্রতি বিনয়-নম্র হবে এবং কাফেরদের প্রতি কঠোর হবে। তারা আল্লাহর পথে জেহাদ করবে এবং কোন তিরস্কারকারীর তিরস্কারে ভীত হবে না। এটি আল্লাহর অনুগ্রহ-তিনি যাকে ইচ্ছা দান করেন। আল্লাহ প্রাচুর্য দানকারী, মহাজ্ঞানী। (সূরা মায়েদাহ-৫৪)

হে মুমিনগণ, যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং অন্যান্য কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও। (সূরা মায়েদাহ-৫৭)

যদি তারা আল্লাহর প্রতি ও রসূলের প্রতি অবতীর্ণ বিষয়ের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করত, তবে কাফেরদেরকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করত না।কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই দুরাচার। (সূরা মায়েদাহ-৮১)

অন্যান্য

তাদের কেউ কেউ আপনার দিকে কান লাগিয়ে থাকে।আমি তাদের অন্তরের উপর আবরণ রেখে দিয়েছি যাতে একে না বুঝে এবং তাদের কানে বোঝা ভরে দিয়েছি। যদি তারা সব নিদর্শন অবলোকন করে তবুও সেগুলো বিশ্বাস করবে না। এমনকি, তারা যখন আপনার কাছে ঝগড়া করতে আসে, তখন কাফেররা বলেঃ এটি পুর্ববর্তীদের কিচ্ছাকাহিনী বৈ তো নয়। (সুরা আনাম-২৫)

তারা এ থেকে বাধা প্রদান করে এবং এ থেকে পলায়ন করে।তারা নিজেদেরকে ধ্বংস করেছে, কিন্তু বুঝছে না। (সুরা আনাম-২৬)

আর তুমি যদি দুনিয়ার বেশিরভাগ মানুষকে অনুসরণকর তবে তারা তোমাকে আল্লাহের পথ থেকে বিচ্যুত করবে।তারা তো শুধু অসার বিষয়ের অনুসরণ করে,আর তারা তো শুধু আন্দাজের উপরেই চলে ।” [ সুরা আনাম ১১৬ ]

হে নবী, আপনি মুসলমানগণকে উৎসাহিত করুন জেহাদের জন্য। তোমাদের মধ্যে যদি বিশ জন দৃঢ়পদ ব্যক্তি থাকে, তবে জয়ী হবে দুশর মোকবেলায়। আর যদি তোমাএদের মধ্যে থাকে একশ লোক, তবে জয়ী হবে হাজার কাফেরের উপর থেকে তার কারণ ওরা জ্ঞানহীন। ”(সূরা আনফাল-৬৫)

 

নিশ্চয়ই আল্লাহ্‌ অত্যাচারীকে পৃথিবীতে সুযোগ ও অবকাশ দিয়ে থাকেন। আবার যখন তাকে ধরেন তখন আর ছাড়েন না। আবু মূসা বলেনঃ অতঃপর তিনি এই আয়াত পাঠ করলেনঃ “এবং এরূপেই তোমার রবের পাকড়াও, যখন তিনি যালিমদের কোন বসতিকে পাকড়াও করেন। নিশ্চয়ই তাঁর পাকড়াও অতি কঠোর যন্ত্রণাদায়ক।” (সুরাঃ হুদ, আয়াত ১০২) (বুখারিঃ হাদিস নং, ৪৬৮৬

আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন বিষয়ে ফায়সালা করলে কোন মু’মিন পুরুষ কিংবা মু’মিন নারীর নিজেদের কোন ব্যাপারে অন্য কোন সিদ্ধান্তের ইখতিয়ার থাকবে না। কেউ আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অমান্য করলে সে তো স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে।”(সূরা আহযাব ৩৬)

তোমরা কি ধর্মগ্রন্থের অংশবিশেষে বিশ্বাস কর ও অন্য অংশে অবিশ্বাস পোষণ কর? অতএব তোমাদের মধ্যের যারা এরকম করে তাদের ইহজীবনে লাঞ্ছনা ছাড়া আর কী পুরস্কার আছে? আর কিয়ামতের দিনে তাদের ফেরত পাঠানো হবে কঠোরতম শাস্তিতে। আর তোমরা যা করছো আল্লাহ্ সে-বিষয়ে অজ্ঞাত নন।(সূরা বাকারাহ: ৮৫)

তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (সূরা বাকারাঃ২১৬)

যারা নিশ্চিত ছিল যে তারা অবশ্যই আল্লাহ্‌র সাথে মিলিত হবে, তারা বললো, “কতবার ছোট দল আল্লাহ্‌র হুকুমে বড় দলকে পরাজিত করেছে, আর আল্লাহ্ অধ্যবসায়ীদের সাথে আছেন।” [সুরা আল-বাকারাহ ২৪৯]

*যে ব্যক্তি ইসলাম ছাড়া অন্য কিছুকে দ্বীন হিসাবে তালাশ করবে, তার নিকট থেকে তা কবুল করা হবেনা। আর আখেরাতে সে ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে।(সূরা আল ইমরান:-৮৫)

*তোমাদের কোন ভয়নেই, তোমাদের কোন চিন্তানেই, তোমরাই হবে বিজয়ী, তোমরাই থাকবে উচ্চাসনে, যদি তোমরা মুমিন হও। ( সূরা আল ইমরান- ১৩৯)

হে ঈমানদারগণ, তোমরা শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করো না।যে কেউ শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ করবে, তখন তো শয়তান নির্লজ্জতা ও মন্দ কাজেরই আদেশ করবে।যদি আল্লাহর অনুগ্রহ ও দয়া তোমাদের প্রতি না থাকত, তবে তোমাদের কেউ কখনও পবিত্র হতে পারতে না।কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পবিত্র করেন।আল্লাহ সবকিছু শোনেন, জানেন।(সূরা নূরঃ২১)

দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে।সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে।তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন।তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। (সূরা নূরঃ২৬)

“হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য। সুতরাং, পার্থিব জীবন যেন তোমাদেরকে প্রতারণা না করে। এবং সেই প্রবঞ্চক যেন কিছুতেই তোমাদেরকে আল্লাহ সম্পর্কে প্রবঞ্চিত না করে।” (সূরা ফাতির -০৫)

“তোমাদের মধ্যে যদি কেউ আল্লাহ তায়ালা এবং তাঁর রসূলকে অমান্য করে, তার জন্যে রয়েছে জাহান্নামের আগুন, সেখানে তারা চিরকাল থাকবে।” (সূরা জ্বিন ২৩)

“রাসূল তোমাদের যা কিছু দেয় তা তোমরা গ্রহণ করো এবং সে যা কিছু নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাকো, আল্লাহ তায়ালাকেই ভয় করো; অবশ্যই আল্লাহ তায়ালা কঠোর শাস্তিদাতা।” (হাশর ৭)

আমার রাসূল ও বান্দাগণের ব্যাপারে আমার এই বাক্য সত্য হয়েছে যে, অবশ্যই তারা সাহায্য প্রাপ্ত হয়। আর আমার বাহিনীই হয় বিজয়ী (সূরা আস-সাফফাত,১৭১-১৭৩)

 

Aside

তাবলীগ জামাতঃ বাস্তবতা এবং কিছু কথা আসসালামু আলাইকুম, মুসলিম ভাইবোনেরা, আপনাদের সকলের কাছে বিশেষ অনুরোধ রইল যে, সম্পূর্ণ লিখাটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে তাবলীগ জামাতের বাস্তবতা এবং কুরআন ও সুন্নাহের সাথে মিলিয়ে দেখবেন। তাবলীগের সাথী ভাইদের একটা প্রশংসা না করলেই নয়, … Continue reading

Aside

ওয়াহাবী”!!! কথা’টির মানে কী? শেইখ মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহাব (রহঃ) নাজদের উয়াইনাহ শহরে ১১১৫ হিজরি তে জন্ম গ্রহণ করেন। তার ১০ বছর হওয়ার পুরবেই কুর’আন হিফ্‌য করেন ।আপন পিতার নিকট ফিক্‌হ অধ্যয়ন করেন এবং দেশের বিভিন্ন উলামাদের নিকট তাফসির এবং … Continue reading

Aside

ইমাম আবু হানীফাহ্‌ (রঃ)-এর আক্বীদাহ (ক) তাওহীদ বিষয়ে ইমাম আবূ হানীফাহ্‌ (রঃ)-এর মতামত সমূহঃ প্রথমতঃ আল্লাহ্‌র তাওহীদ (একত্ববাদ) সম্পর্কে তাঁর আক্বীদাহ এবং শারয়ী অছীলা ধরা (মাধ্যম ধরা)-এর বিবরণ ও বিদয়াতি অছীলা ধরা বাতিল হওয়া প্রসঙ্গে আলোচনাঃ (১) আবূ হানীফাহ্‌ (রঃ) … Continue reading

Aside

বছরের শ্রেষ্ঠ ১০ দিনে করণীয় ১০ আমল দিনগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য যিলহজ মাসের এই প্রথম দশদিন। এ দিনগুলো এমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেগুলোকে দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিন বলে আখ্যায়িত করেছেন। তাতে আমলের প্রতি তিনি সবিশেষ উদ্বুদ্ধ করেছেন। এই দশটি দিনের আমল … Continue reading

যে সকল মায়েরা ছেলেদের জিহাদে যেতে দিতে চান না, তাদের জন্য…

Aside

ঈদে মীলাদুন নবী (সা.) কেন বিদআত? বর্তমানে মুসলিমদের বিরাট একটি অংশ ঈদে মীলাদুননবী রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জন্ম দিবস উপলক্ষে প্রতি বছর রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখে বিশেষ অনুষ্ঠান পালন করে থাকে। এমন কি যারা ইসলামের বুনিয়াদী বিষয়গুলো পালন … Continue reading

দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে পুলিশ বিভাগে চাকরি করা কি ইসলাম সমর্থন করে??

পরম করুণাময় এবং অসীম দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি। শান্তি ও অনুগ্রহ বর্ষিত হোক প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, তাঁর পরিবারবৃন্দ, তাঁর সাহাবারা এবং যারা তাঁকে অনুসরন করে তাঁদের প্রতি।

এতে কোনও সন্দেহ নেই যে পুলিশ এবং অন্যান্য এই ধরনের প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করা হয়েছে আল্লাহর আইনকে মুছে ফেলার জন্য এবং এর বদলে মানব রচিত আইনকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য।

যেকোন মুসলমান যে তাঁর দ্বীন সম্পর্কে সচেতন তাঁর কাছে এই ধরনের মুরতাদ বাহিনীতে কাজ করা অগ্রহনযোগ্য হবে। অন্যদিকে সে নিজেকে এবং নিজের ঈমানকে এই ধরনের মুরতাদ বাহিনীর নোংরামী থেকে হিফাজত করবে। এটা এ কারণে যে এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো আল্লাহর আইনের পরিবর্তে মানব রচিত আইনকে গ্রহন করার বোঝা বহন করে এবং যে এই ধরনের বাহিনীতে কাজ করে তাঁর উপর এই মানব রচিত আইনকে প্রয়োগ করে। রিজিক কমে যাওয়া এবং সম্পদদের স্বল্পতার ইত্যাদি উদ্বেগ এই চরম ঘৃণিত কাজের তুলনায় কিছুই না।
আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেনঃ

“তারা বলে, যদি আমরা আপনার সাথে সুপথে আসি, তবে আমরা আমাদের দেশ থেকে উৎখাত হব। আমি কি তাদের জন্যে একটি নিরাপদ হরম প্রতিষ্ঠিত করিনি? এখানে সর্বপ্রকার ফল-মূল আমদানী হয় আমার দেয়া রিযিকস্বরূপ। কিন্তু তাদের অধিকাংশই জানে না।” (সূরা কাসাসঃ ৫৭)

মনে রাখা দরকার যে কুফরী কাজ করা কোনও অবস্থাতেই গ্রহনযোগ্য না যতক্ষন পর্যন্ত না কাউকে বাধ্য করা হচ্ছে এবং সাহায্য করার কেউ না থাকার কারণে সে তার জীবন হারানোর আশঙ্কা অথবা অঙ্গহানি হবার আশঙ্কা করছে।

আল্লাহ রব্বুল আলামীন বলেনঃ

“যার উপর জবরদস্তি করা হয় এবং তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে সে ব্যতীত যে কেউ বিশ্বাসী হওয়ার পর আল্লাহতে অবিশ্বাসী হয় এবং কুফরীর জন্য মন উম্মুক্ত করে দেয় তাদের উপর আপতিত হবে আল্লাহর গযব এবং তাদের জন্যে রয়েছে শাস্তি। এটা এ জন্যে যে, তারা পার্থিব জীবনকে পরকালের চাইতে প্রিয় মনে করেছে এবং আল্লাহ অবিশ্বাসীদেরকে পথ প্রদর্শন করেন না। এরাই তারা, আল্লাহ তা’য়ালা এদেরই অন্তর, কর্ণ ও চক্ষুর উপর মোহর মেরে দিয়েছেন এবং এরাই কান্ড জ্ঞানহীন। বলাবাহুল্য পরকালে এরাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যারা দুঃখ-কষ্ট ভোগের পর দেশত্যাগী হয়েছে অতঃপর জেহাদ করেছে, নিশ্চয় আপনার পালনকর্তা এসব বিষয়ের পরে অবশ্যই ক্ষমাশীল,পরম দয়ালু।” (সূরা নাহল ১০৬-১১০)

মনে রাখা দরকার যে এইখানে আল্লাহ সুবহানুহু ওয়া তাআলা সেই সকল ব্যক্তি সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন যারা কোনও ধরনের চাপ ছাড়াই কুফরকে গ্রহণ করেছে; কেউ যদি আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে থাকে তাহলে এটি তাঁকে কুফরের দিকে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। অতএব যারা এটা করে (আখিরাতের তুলনায় দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেয়), তারপর এই ধরনের ব্যক্তিদের আত্মা, শ্রবন শক্তি এবং দৃষ্টি শক্তি কুফরের উপযুক্ত হয়ে উঠে। এটা এ কারণে যে তারা তাদের মধ্যে থেকে যারা অসচেতন, অভিশপ্ত এবং বিচার দিবসের দিনে ক্ষতিগ্রস্ত।

তাই যে আনুগত্যশীল হতে চায় তাকে অবশ্যই কুফরের ও শিরকের এই পথকে পরিত্যাগ করতে হবে এবং অবশ্যই দুনিয়ার জীবনের তুলনায় আখিরাতের জীবনকে প্রাধান্য দিতে হবে। তাঁকে অবশ্যই তাঁর নফস, তাঁর ইচ্ছা এবং জীন ও মানব জাতির সকল ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে হবে।

এই পথে চলতে গিয়ে যেকোন ধরনের কষ্টে সে সবর করবে। এই পথেই আল্লাহ তাআলা তাঁকে ক্ষমা করতে পারেন ও তাঁর উপর রহমত বর্ষন করতে পারেন। এতে কোনো সন্দেহ নেই যে আল্লাহ সবচেয়ে ক্ষমাশীল ও অনুগ্রহশীল। যে আল্লাহ তাআলাকে ভয় করে তাঁর এটা মনে রাখা দরকার যে, সে আল্লাহ তাআলার জন্যই সৃষ্টি হয়েছে। কোনও ধরনের কঠোর পরিশ্রম ছাড়া আল্লাহ তাকে এমন জায়গা থেকে রিযিক দিতে পারেন যা সে কল্পণাও করতে পারে না।

আল্লাহ বলেনঃ

“এতদ্দ্বারা যে ব্যক্তি আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাস করে, তাকে উপদেশ দেয়া হচ্ছে। আর যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন। এবং তাকে তার ধারণাতীত জায়গা থেকে রিযিক দেবেন। যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন। আল্লাহ সবকিছুর জন্যে একটি পরিমাণ স্থির করে রেখেছেন।” (সূরা তালাকঃ ২-৩)

আল্লাহ রব্বুল আলামী আরও বলেনঃ
“যে আল্লাহকে ভয় করে,আল্লাহ তার কাজ সহজ করে দেন।” (সূরা তালাকঃ ৪)

এবং তারপর তাঁর পরিবার, তাঁর পিতামাতা এবং তাঁর আত্বীয় স্বজন আল্লাহর শাস্তি থেকে তাঁকে বাঁচাতে পারবে না। বরং তাঁরা বিচার দিবসের দিনে তাদের থেকে দূরে সরে যাবে।

আল্লাহ বলেনঃ
“সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে, তার মাতা, তার পিতা, তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে। সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।” (সূরা আবাসাঃ ৩৪-৩৭)

আমরা আল্লাহর কাছে দোয়া করি যেনো তাঁকে এবং তাঁর মতো অন্যান্যদেরকে ঈমানদারদের পথে দৃঢ়ভাবে থাকার তৌফিক নসীব করেন এবং যারা এইভাবে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো তাদের পথ থেকে তাঁকে হিফাজত করেন।
—————————
শরীআহ কমিটি
মিনবার আত-তাওহীদ ওয়াল-জিহাদ ওয়েবসাইট

শাহবাগীদের জন্যই হেফাজতের লোকদের ৫ তারিখ আমানবিক ভাবে হত্যা করা হয়…।